ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি অথবা নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আপনি অনলাইন কোর্স, বই, ইউটিউব ভিডিও বা ব্যক্তিগত ট্রেনিং থেকে শিখতে পারেন। আপনি যদি একজন শিক্ষক বা মেন্টরের কাছ থেকে শিখতে চান, তাহলে আপনি অনলাইনে বা আপনার এলাকায় এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে পারেন।
 
কালক্রমে ফ্রিল্যান্সিং এখন প্রফেশন থেকে ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। এক সময় শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করতো। কিন্তু বর্তমানে অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে যারা ২০/৩০ জনের টিম তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং করছে। এক কথায় বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, মানুষ এখন ফ্রিলান্সিংকে পেশা থেকে ব্যবসায় পরিনত করেছে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? কার কাছ থেকে অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো? অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে ভালো হবে নাকি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখলে ভালো হবে? এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে এই পোষ্টটি পড়লে আপনি পূর্ণাঙ্গ সমাধান পেয়ে যাবেন।
 
কারণ আমরা আজকের পোষ্টে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। কাজেই আপনার হাতে যদি সময় নাও থাকে তাহলে পোষ্টটি বুকমার্ক করে রাখুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়ার জন্য পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

প্রথমত ফ্রিল্যান্সিংকে সহজ মনে করবেন না। বাস্তব জীবনে আমাদের যেমন পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হয় সেরকম ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কিছু টিপস ফলো করতে পারেন । নিচে সেগুলো দেওয়া হলো—
  1. আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে কতটুকু সময় দিতে পারবেন তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে সহজ কাজ বাছাই করতে হবে। কিন্তু ফুল টাইম করতে চাইলে ভারি কাজ গুলো বাছাই করতে পারেন।
  2. তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি বিষয় নির্বাচন করুন। ভালো ফল পাবেন যদি আপনি ইতোমধ্যে পারেন এমন কোনো কাজ নির্বাচন করেন। এর ফলে আপনি কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করবেন এবং আপনার স্কিল অন্যান্য কাজের তুলনায় ভালো ডেভেলপ হবে।
  3. আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং করার মতো কোনো দক্ষতা না থাকে তাহলে পছন্দমত কোন দক্ষতা অর্জন করুন। নতুন দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কোন দক্ষ মেন্টরের সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়া কোন অনলাইন বা অফলাইন কোর্স করতে পারেন। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোর্স করায়। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে সরকারি উদ্যোগে বিনা পয়সায় কোর্স করানো হচ্ছে।
  4. কোন একটি বিষয়ের উপর ভালো দক্ষতা অর্জন হয়ে গেলে কাজে নেমে পড়ুন। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে সেগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশনের পর ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইলটি সুন্দর করে সাজাবেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট মুলত প্রোফাইল দেখেই সবকিছু যাচাই করে এবং কাজ দেয়। তাই প্রোফাইল সুন্দর ভাবে সাজানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  5. প্রোফাইল সাজানোর পর একটি সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরী করুন। পোর্টফোলিওতে আপনার পূর্ববর্তী কাজ গুলো দেখান। এর ফলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ সম্পর্কে ধারণা পাবে। একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারলে সবথেকে ভালো সুবিধা পাবেন।
  6. Linkdn সহ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন সাইটে একাউন্ট তৈরী করুন এবং সেই একাউন্ট গুলো প্রফেশনালভাবে সাজান।
  7. প্রথম দিকে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। ধিরে ধিরে রেটিং এবং পজিটিভ রিভিউ বৃদ্ধি পেলে এমনিতেই বড় বড় অর্ডার পেয়ে যাবেন।
  8. লোকাল মার্কেটপ্লেসেও কাজ করতে পারেন। এর ফলে আপনি এক্সট্রা কাজ পাবেন এবং সবার সাথে পরিচিত হতে পারবেন।